আমার এস্টিমেট মোতাবেক, যে সকল ব্যক্তির নাম S অক্ষর দিয়ে শুরু হয় তাদের আচরণগত ও মনমানসিকতায় সমস্যা অন্য আট-দশজনের চেয়ে বেশি। এটা কী কারণে হয়, সেটা এক্সাক্টলি বুঝে উঠতে পারি নি। হয়তো S নামের লোকদের সংখ্যা বাংলাদেশের সমাজে সবচেয়ে বেশি, তাই তারা সংখ্যাগুরু হওয়ার বিষয়টিকে ‘অপরাধ’ করার মধ্যদিয়ে সেলিব্রেট করে। এখানে অপরাধ বলতে ছোট-খাট ও বড় সব ধরনের অপরাধই বুঝাচ্ছি। যেমনঃ কেউ যদি অফিসিয়াল ভদ্র পরিবেশে ‘বাল-ছাল, চ্যাট’ এসব স্ল্যাং ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজ করে, তবে সেটা যেমন একটি অপরাধ; তেমনি কোনো মেয়েকে শ্লীলতাহানি করে মামলার হাত হতে বাঁচতে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারা একটি বিশাল অপরাধ তো বটেই।
ফেনীর যে মাদ্রাসা-অধ্যক্ষ ছাত্রীকে দৈহিকভাবে লাঞ্ছিত করে পরে মামলা হতে রেহাই পেতে লোক ভাড়া করে তাকে পুড়িয়ে মারে, তার নাম ‘সিরাজ’। আমি নিজে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝতে পেরেছি, S নামের লোকদের সাথে বন্ধুত্ত্ব, লেনদেন ও অন্যান্য যেকোনো কিছু করার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। আপনার নামের প্রথম অক্ষর যদি S না হয়, তাহলে যে ব্যক্তির (পুরুষ বা নারী) নামের আদ্যাক্ষর S তার সাথে যেকোনো ধরনের সম্পর্ক ও আলাপচারিতার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকবেন – নয়তো তারা কখন যে পল্টি নিবে তার কোনো ইয়ত্তা পাবেন না।
আমি নিজ জীবনের অভিজ্ঞতাসমূহ নিয়ে যে আর্টিক্যালগুলো লিখতে শুরু করেছিলাম, তার প্রথম দু’টিতে যে দু’জন নারীর কথা উল্লেখ আছে, তাদের নামের আদ্যাক্ষরও S। এর মধ্যে শবনমের যৌন খায়েশ এত বেশি ছিল যে, সে তার চেয়ে ১২-১৩ বছরের ছোট এক ছেলের সাথে যৌন অভিজ্ঞতা নিয়েছে। ঐ যুবকটি আমার চেয়ে ২-৩ বছরের ছোট, তার দেশের বাড়ি কুমিল্লা, সে শবনমের বড় কন্যা হামজানা জেনি’র প্রাইভেট টিউটর ছিল এবং সবচেয়ে ইম্পোর্টটেন্ট কথা হলো – তার নামও S দিয়ে শুরু (সাইফুল)। শবনমের গোপনাঙ্গে চুলকানি এত বেশি ছিল যে, সে তার দেবরের গাড়ির ড্রাইভারের ‘সার্ভিস’-ও গ্রহণ করেছে। এই ড্রাইভার ছিল বরিশালের লোক।

আর সাইফুল ছেলেটিও একটু অন্য ধরনের ছিল; এই কারণে যে, মা’র সাথে শুয়ে পরে আবার মেয়ের দিকে নজর দিয়েছে। আমি হলে এমনটা করতে পারতাম না। আমি কেবল জেনিকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম, তার মা শবনম আমার প্রতি আগ্রহী হলেও তাকে কখনো পাত্তা দেই নি। যদি শবনমের সাথে যৌন সম্পর্কে জড়াতাম, তাহলে তার কন্যাদের দিকে হাত বাড়াতাম না (সম্ভবতঃ)। সাইফুলের পক্ষে এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্ভব হয়েছে, কারণ তার নাম S অক্ষর দিয়ে শুরু।
আর শাহনাজের কথা কী বলবো, তার ব্যবহার ছিল অত্যন্ত খারাপ। যদিও বাসা ছেড়ে দেবার ঘোষণা দেয়ার আগ পর্যন্ত সে নরমাল ব্যবহারই করেছে এবং আমার সাথে একসময় শোবে এরকম আশা নিয়েই ছিল। কিন্তু উপরের তলার ব্যাচেলর ভাড়াটিয়ারা যখন অতিমাত্রায় ডিস্টার্ব শুরু করলো, তখন শাহনাজের কাছে বিচার দেওয়া সত্ত্বেও সে ‘নিরপেক্ষ’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চাইলো, যেটা মেনে নেয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এর কারণও সংশ্লিষ্ট আর্টিক্যালে উল্লেখ করেছি আমি – খুব সম্ভবতঃ সেই ব্যাচেলরদের মধ্যে একজন শাহনাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। সে ছয় ফুটিয়া ও হ্যান্ডসাম ছিল, শাহনাজের পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি কামুকী নারীদেহকে ঠাণ্ডা করার জন্য এমন একটা পুরুষ দেহ-ই দরকার ছিল।
এবার ফেনীর সিরাজের কথায় ফিরে আসি। সে সম্ভবতঃ ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রচেষ্টা নিয়েছিল, ব্যর্থ হওয়ার পর তার ক্রোধ চেপে গিয়েছিল এবং মেয়েটিকে সে হুমকি-ধমকিও দেয় সম্ভবতঃ। এতেই মেয়েটি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তার নামে মামলা দেয়। ভেজাল এড়াতে সিরাজ যেটা করতে পারতো, সেটা হলো এই যে, ধর্ষণ প্রচেষ্টা সফলকাম না হওয়ার অব্যবহিত পরেই মেয়েটির কাছে ক্ষমা চাইতো পারতো; বলতে পারতো, ‘আমার মাথা ঠিক ছিল না’। তাহলেই মামলার দিকে ব্যাপারটা গড়াতো না। বিষয়টি এভাবে বললাম, কারণ এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে – দু’-একটি ইয়াং মেয়েকে আমিও যৌন হেনস্থা করেছি।
https://www.youtube.com/watch?v=unEKZ6lbFvY
এর মধ্যে একজন হলো কিছুক্ষণ পূর্বে উল্লেখিত জেনি নামের মেয়েটি, সে আমার ছাত্রী ছিল (প্রাইভেট টিউশনি)। তার মা শবনম শিকদার আমাকে ভাড়া করেছিল, নিজে আমার সাথে শোবে সে আশায়; অথচ আমি হাত বাড়ালাম তার ইয়াং মেয়ের দিকে। জেনি’র সাথে আমি অনেক কিছুই করেছি, শুধু সরাসরি আমার লিঙ্গ তার মধ্যে প্রবেশ করাতে পারি নি। সেটাও পারতাম যদি না তাদের স্কুলের একটি মেয়েকে (যে কিনা জেনির চেয়ে এক বছরের বড় ছিল) পরিমল ধর্ষণ করে লাইমলাইটে আসতো। এ ঘটনার পর থেকে জেনি সতর্ক হয়ে যায় এবং আমার সাথে দৈহিক সংশ্রব অনেকখানি কমিয়ে দেয়। তার সাথে আমার বাদানুবাদ বা ছোটখাট ঝগড়া যাই হোক না কেন, তার গায়ে কখনো হাত তুলি নি বা কখনো তাকে হুমকি দেই নি। তার সাথে যা করেছিলাম সেটার বেশিরভাগই ছিল পটিয়ে বা ‘পাম্প’ দিয়ে, তবে একটু জবরদস্তিও করা লেগেছে।
কিন্তু অধ্যক্ষ সিরাজ বোধ হয় নুসরাত মেয়েটির সাথে পুরোপুরি জবরদস্তি করেছে, তাই তো মেয়েটি মামলা করতে বাধ্য হয়েছিল। অর্ধবুড়ো বা বুড়ো যারা আছেন, তারা যদি কখনো কোনো মেয়েকে পছন্দ করেন বা তাদেরকে দৈহিকভাবে ব্যবহার করতে চান, তাহলে অবশ্যই প্রথমে তাকে ভালো করে পামপট্টি দিয়ে নিবেন, যেমনঃ তার রূপের প্রশংসা করবেন। সেক্ষেত্রে মেয়েটি প্রথমে আপনাকে ‘বুড়ো’ বলে অবজ্ঞা করবে বটে, তবে একসময় না একসময় ঠিকই আপনার ফাঁদে পা দেবে। তখন সে ঈষৎ রাজি হলে তাকে একটু টেপাটিপি করতে পারেন, প্রথমেই টেনে স্যালোয়ার খুলে ফেলার চেষ্টা করবেন না। আপনার ভাগ্য ভালো হলে সেটা সে নিজেই করতে দেবে, আর যদি খারাপ হয় তবে জোর-জবরদস্তি করে কাজ হবে না – বাড়াবাড়ি করলে শেষ পর্যন্ত জেলের ঘানি টানা লাগতে পারে।