হায় ছাত্রলীগ হায়
তোমরা এ কী করলে বলো তো?!
কেন খুন করলে নাহিদ আর মুরসালিনের মতো
গরীব ঘরের নিরীহ যুবকদেরকে?
তারা কি তোমাদেরটা খেত?
নাকি তোমাদের বাবাদেরটা খেত?
তোমাদের একেকজনের যে কয়টা করে
বাবা আছে, সেটা তোমাদের মায়েরাই ভালো জানে!
বলছি না যে, ছাত্রলীগ বা ছাত্র রাজনীতি যারা করে
তারা সবাই খারাপ।
তবে ভালোর সংখ্যা মুষ্ঠিমেয়
তোমাদের নেতৃত্বে যারা আছে
তারাই তো ভালো নয়
তারা একদা বড় বড় সন্ত্রাসী ছিল
আর তোমাদের নেত্রী তো ভোটচোর,
গণতন্ত্র চোর
যদিও তিনি মাথায় অনেক বুদ্ধি রাখেন
এবং দেশের যথেষ্ট উন্নতি করে যাচ্ছেন।
কিন্তু উন্নতিই শেষ কথা নয়
মানুষের মনে শান্তি বা স্বস্তি আছে কিনা
সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণ দিয়ে তোমাদেরকে বুঝিয়ে দেই।
দু’জন মানুষ কল্পনা করো
একজন যা ইচ্ছা তা-ই খেতে পায়
কিন্তু বাসা থেকে বের হতে পারে না
আরেকজন তিনবেলার জায়গায়
দু’বেলা খেলেও স্বাধীনতার কোনো
কমতি নেই।
এদের দু’জনার মাঝে কে বেশি সুখী?
তথাকথিত জননেত্রীর উন্নয়নের দেশে
মানুষ আসলে এতটাই অসুখী।
যাই হোক, ছাত্রলীগবৃন্দ
তোমাদেরকে এসব জ্ঞানগর্ভ
কথা বলে লাভ নেই
ছাত্র রাজনীতি করা আসলে
ব্যবসায় পরিণত হয়েছে
একসময় এটা আদর্শের রাজনীতি ছিল বটে
কিন্তু এখন হয়ে গেছে টাকা কামানোর ধান্ধা
ঢাকা কলেজের পরিবেশকে দোষ
দিয়ে লাভ নেই
কারণ বুয়েটের মতো পরিবেশেও
তোমরা পিশাচ হয়েছো
খুন করেছো মেধাবী আবরারকে
এক আবরারকে খুন করে ছাত্রলীগের বিশজন পেল ফাঁসি
আর পাঁচজন পেল যাবজ্জীবন
তবুও খুনের নেশা যায় না ওদের
ওরা আসলে ওদের মায়ের জারজ সন্তান।
আজ নাহিদ আর মুরসালিনের পরিবার
ক্রন্দন করছে, আর বিলাপ করছে
হায় ছাত্রলীগ হায়!