আমার জীবনে যে সকল সেক্সি ও কামুকি নারী এসেছে, তার বেশিরভাগই নরসিংদীর শিবপুর থেকে। যেমনঃ আমার প্রাক্তন এক ছাত্রী জেনি, তার মা শবনম, ছোটকালের প্রাইভেট টিউটর সেলিনা খালামণি, তার মেয়েরা (পপি ও মিতা) আর যে হাইস্কুলে পড়তাম সেখানকার বায়োলজি ম্যাডাম যার নাম ছিল নার্গিস সুলতানা।
নার্গিস ম্যাডামের স্বামী ছিল রাজ্জাক স্যার যিনি ঢাকার একটি বিখ্যাত গার্লস স্কুলের আজিমপুর শাখার হেডমাস্টার ছিলেন একসময়, এখন কোথায় আছেন জানি না। তবে আমি যখন ক্লাস এইট থেকে মেট্রিক পর্যন্ত ছিলাম, তখন ঐ স্যার আর ম্যাডাম আমাদের অখ্যাত স্কুলেই পড়াতেন। পরবর্তীতে স্যার তার মেধা আর ব্যক্তিত্বের জোরে উক্ত গার্লস স্কুলে চাকুরি পেয়ে গেলেও ম্যাডাম আমাদের স্কুলেই পরে ছিলেন।
ম্যাডাম যে চরিত্রহীন ছিলেন বা তিনি যে আমাকে কোনো বিশেষ চান্স দিয়েছিলেন, সেটা আমি বলবো না, এই আর্টিক্যালের উদ্দেশ্যও সেটা নয়। শুধু বলতে চাই তিনি আমার খালার বয়সী হলেও আমার এক সময়কার ক্রাশ ছিলেন। তিনি যে মারাত্মক সুন্দরী ছিলেন তা নয়। তবে আমার কাছে তাকে আকর্ষণীয় লাগতো, বিশেষ করে তার হাসিটা ও মমতাময়ী আচরণটা। এটা ঠিক যে, তিনি অত্যধিক মেকআপ করতেন। তবে তিনি যখন মেকআপ করে থাকতেন না, তখনও প্রায়শই তাকে দেখতাম এবং মনে মনে ভালোবাসতাম।
দু’একবার স্যারের বাসায় যেয়ে ম্যাডামকে একা পেয়েছিলাম, তখন স্বাভাবিকভাবেই আমার মনে কুচিন্তা ভর করেছিল। তবে ম্যাডাম আমাকে অনেকটা ‘ছেলের মতো’ দেখতেন, তাই উল্টাপাল্টা কিছু করলে তার চোখে, স্যারের চোখে, এমনকি স্কুলের অন্য সকল টিচার ও স্টুডেন্টদের চোখে চিরকালের মতো কালার হয়ে যেতাম।
তবে সাধের এই ম্যাডামের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারি নি আপন ছোট ভাইয়ের কারণে; সে যখন ঐ স্যারের বাসায় পড়তে যেত তখন নাকি স্যার ও ম্যাডাম তার সাথে পার্শ্বিয়াল্টি ও বর্ণবাদী আচরণ করতো। অর্থাৎ অভিষেক নামে একটি হিন্দু ধনী পরিবারের ছেলে সেই প্রাইভেটে আমার ছোট ভাইকে উত্ত্যক্ত করতো এবং স্যার ও ম্যাডাম সেটা ওভারলুক করতেন। আমি জানি, অভিযোগটা সত্যি; বড়লোক বা ধনীদের প্রতি তাদের যে একটি দূর্বলতা ছিল, সেটা আমার অজানা ছিল না। যাই হোক, তাদের এই আচরণ শিক্ষকসুলভ ও ন্যায়পরায়ণ ছিল না, তাই তাদের সাথে আর কখনো যোগাযোগ করি নি, বা রাখি নি, কারণ ততদিনে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোর্থ ইয়ারের স্টুডেন্ট।