ঘটনাটি ঘটে কোটা সংস্কারের আন্দোলন নিয়ে। সেই আন্দলনে ছাত্রলীগ নেত্রী মোর্শেদার পা কাটা নিয়ে হল থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয় এশাকে।
এরপর পরেই এশাকে নির্দোষ দাবী করে ছাত্রলীগে নেতারা। নির্দোষ দাবী করে এশার উপর থেকে তুলে নেওয়া হয় সব ধরণের নিষেধাজ্ঞাও।
এমনকি ৩৬ ঘন্টার ব্যবধানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এশাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এ নিয়েও নানামূখী প্রশ্ন রয়েছে। কেন সেই রাতে তারা ঘটনাস্থলে যাননি এবং ছাত্রলীগের একজন নেতাকে উদ্ধারে তাদের ভূমিকা রহস্যজনক কেন ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে সবচে বড় নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম সাইফুর রহমান সোহাগের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক। এতদিন ধরে বিষয়টি সংগঠনের ভেতরে বাইরে নানামুখী গুঞ্জন থাকলেও এখন তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ছাত্রলীগের ভেতরে বাইরে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে বলেও জানা গেছে। সংগঠনের কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা এবং সাইফুর রহমান সোহাগের ঘনিষ্ঠজনরাই ভোরের পাতাকে বলেছেন, সাইফুর রহমান সোহাগ এবং এশার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। রাত বিরাতে তারা একান্তে সময় কাটিয়েছেন। তার প্রতি বিশেষ দুর্বলতার কারণেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই রাতে বহিষ্কার করা হলেও ২৪ ঘন্টা পরই তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এমনকি এশাকে বাঁচাতে গিয়ে ২৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। যাদের মধ্যে মূলত অপরাধীর সংখ্যা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে ৩ থেকে ৪ জন। বাকি সবাই এশাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত পর্যন্ত হয়েছিল। এমনকি যে মেয়েটি ৮ এপ্রিল থেকে এখনো ভারতে অবস্থান করছেন তাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে একটি বেসরকারী গনমাধ্যম থেকে সাইফুরকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।