শত্রুর পুরুষত্ব দেখে গোপনাঙ্গ ভিজে গেছে এমন নারী হয়তো ইতিহাসে অনেক আছে। তবে আমার জানাশোনার মধ্যে এরকম কমপক্ষে একজন নারী রয়েছে আর তার নাম হলো নাসরিন সুলতানা মুন্নি। সে ‘প’ আদ্যাক্ষরের একটি গাইডবুক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যেখানে আমিও দীর্ঘদিন কাজ করেছি।
তার সে শত্রু পুরুষটি আর কেউ নয়, আমি। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, কীভাবে আমি তার শত্রু হলাম। প্রথমতঃ সে ছিল চাকুরে, আর আমি ছিলাম ফ্রিল্যান্সার। যারা ৯টা – ৬টা অফিস করে, তাদের চেয়ে ফ্রিল্যান্সাররা অল্প পরিশ্রমেই বেশি ইনকাম করবে, সেটা অন্য আট-দশজন (সাঈদ, বীথি, বদরুল, অনুপ) চাকুরের মতো নাসরিনও মেনে নিতে পারে নি। সে জাস্ট আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা আর নিজের যোগ্যতার ফারাক ভুলে গিয়েছিল। শিক্ষাগত ব্যাপারটা বাদেও তখন আমার ওভারল যোগ্যতা তার চেয়ে ঢের বেশি ছিল। এছাড়া আমি যখন জুপিটার পাবলিকেশন্সে অভারটাইমসহ চল্লিশ হাজার টাকা আয় করতাম, তখন সে কত আয় করতো সেটাই তার কাছে আমার প্রশ্ন।
দ্বিতীয়ত আমি ছিলাম তুমুল তুখাড়, আমার ব্রিলিয়্যান্সের ঝলকে সে আতংকিত হয়ে পড়ে। আমার সম্মুখীন হওয়ার আগ পর্যন্ত তার ধারণা ছিল, সে নিজেই অনেক ব্রিলিয়্যান্ট। কিন্তু আমার মেধার ছিটেফোঁটার আন্দাজ পাবার পর সে বুঝতে পারলো যে, সে আসলে ‘নিউটনের মতো’ জ্ঞান সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে কয়েকটি নুড়ি কুঁড়িয়েছে মাত্র। যেহেতু নাসরিনের আত্মবিশ্বাসের দেয়ালে আমি কুঠারাঘাত করেছি, তাই সে চেয়েছিল যাতে আমি নিপাত যাই।
তৃতীয়তঃ তার প্রাণের বান্ধবী বীথি আমার সাথে শুতে চেয়েছিল, অথচ আমি তার সাথে শুতে চাই নি। তখন বীথি ও নাসরিন গ্রুপ আমার গণশত্রু হয়ে গেল। তারা অফিস থেকে আমাকে বিতাড়িত করতে চেয়েছিল, কারণ বীথির কিছু নোংরা অঙ্গভঙ্গির স্বাক্ষী ছিলাম আমি।
এ কয়েকটি কারণে নাসরিন বলতে গেলে আমার ‘জানি দুশমন’ ছিল ২০১৪ সালের মাঝামাঝি পর্যায়ে। তা সত্ত্বেও একদিন আমার পুরুষত্ব দেখে তার গোপনাঙ্গ রসে ভিজে যায়, যে ঘটনা এখন তোমাদেরকে বর্ণনা করতে যাচ্ছি।
তখন ইন্টারমিডিয়েটের ফার্স্ট বা সেকেন্ড ইয়ারের গাইডের কাজ চলছিল, দু’-একদিনের মধ্যে ট্রেসিং দেয়া হবে এমন অবস্থা। আমি তখন শেষ মুহূর্তের এডিটিং-এর বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, বলতে গেলে ব্যতিব্যস্ত ছিলাম। কারণ তখনকার দিনে আমি ছাড়া আর কেউই ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে সুন্দরভাবে ও দায়িত্বশীলতার সাথে এডিটিং-এর কাজ করতে পারতো না। এমন একটি ব্যস্ত সময়ে (পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার) রাশেদ আমার পাশে এসে বসলো। সে হুজুর টাইপের হওয়া সত্ত্বেও কাজ-কর্মে ব্যাপক ফাঁকিবাজি করতো, বলতে গেলে দুর্নীতি করতো।
তার কাজ ছিল প্রুফের, সে যেনতেন প্রকারে প্রুফের কাজগুলো সেরে জমা দিত। প্রুফের কাজে তার যে পরিমাণ পরিশ্রম করার করা, তার ২০% পরিশ্রম করেই সে ১০০% পেয়মেন্ট নিয়ে নিত। আর ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের তৎকালীন ইন-চার্জ সাঈদ ভাই এগুলো কেন জানি মেনে নিতেন। আসলে সাঈদ তখন নিজের চাকুরি থাকা না থাকা নিয়েই ব্যতিব্যস্ত বা বিব্রত ছিল, তাই কোয়ালিটি কাজ-এর থোড়াই কেয়ার করতো সে।
যাই হোক, রাশেদের প্রুফের কাজগুলো ছিল এমন যে, সেগুলো আরো দু’একবার প্রুফ দেখলেও তাতে ভুল শোধরাবে না। তাই ওর প্রতি আমি ক্ষিপ্ত ছিলাম, কারণ আমাকে এর ফলে এডিটিং এর পাশাপাশি প্রুফ মিসটেকও ব্যাপকভাবে ধরতো হতো। তাই এক পর্যায়ে যখন সে আমাকে কিছুটা বিরক্ত হয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় বললো, ‘কি, হয় নাই?’ অর্থাৎ সে জানতে চেয়েছিল, আমার এডিটিং এর কাজ শেষ হয়েছে কিনা। তখন আমি স্বাভাবিক কারণেই বেশ বিরক্ত হলাম; মনে মনে ভাবলাম, ‘শালা, তোর কারণে আমাকে এক্সট্রা কাজ করতে হচ্ছে, অর্থাৎ তোর কাজগুলোও আমাকে করতে হচ্ছে। আর তুই-ই আবার কিনা আমার সাথে ভাব লস্।’
তখন আমি প্রত্তুত্তরে কিছু না বললেও বিষয়টি মনে রাখি। পরবর্তীতে সে যখন আমার পেছন দিয়ে গিয়ে আমার পাশের চেয়ারটাতে বসতে চেয়েছিল, তখন আমি তাকে বসতে দেই নি। আড়মোড়া ভাঙ্গার ভঙ্গিতে হাত ও বাহুগুলো প্রসারিত করে তার পথরোধ করি ও সরাসরি বলে দেই যে, এখানে বসা যাবে না। এটা করার এখতিয়ার আমার ছিল বেশ কয়েকটা কারণেঃ একে তো আমি বয়সে সিনিয়র, দ্বিতীয়তঃ পদমর্যাদা ও কাজকর্মের দিক থেকেও আমি তার চেয়ে সুপেরিয়র। তৃতীয়তঃ, ফাউল সে-ই করেছে আগে, আমাকে অযাচিত ও অনধিকারবলে ‘কাজ শেষ হয়েছে কিনা’ জিজ্ঞেস করে।
তো, যাই হোক, আমার এই সাহসিকতার কাজ তথা ‘মাচোগিরি’ (রাশেদ সাইজে আমার ডাবল ছিল) দেখে পাশের ডেস্কে বসা নাসরিনের গোপনাঙ্গে হয়তো রস এসে গিয়েছিল। তাই সে তার ডেস্ক ছেড়ে সাঈদ ভাইয়ের চেয়ারে, অর্থাৎ ঠিক আমার সামনে বসলো, মুখোমুখি। মুখে তীব্র হাসি ছিল তার, যে হাসি আমন্ত্রণের ও বন্ধুত্ত্বের। অর্থাৎ তার হাসি দেখে বোঝা যাচ্ছিল, সে বোধ হয় আমার সাথে বন্ধুত্ত্ব করতে বা ঘনিষ্ঠ হতে চায়, অথচ তখনকার দিনে সে ও বীথি ছিল আমার ‘জানি দুশমন’। তাই তার এই আচরণের কোনো ব্যাখ্যা এতোদিন আমার মাথায় না আসলেও সম্প্রতি ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পেরেছি আমি।

তাই ভাবি, সেদিন গোঁ ধরে বসে না থেকে নাসরিনের বাড়ানো হাত দু’টো ধরলেই হয়তো ভালো করতাম, তাহলে তার সাথে ফ্রেন্ডশিপ ও বিছানার সম্পর্ক করতে পারতাম। জানি না, তাকে পাত্তা না দেয়ায় সে আমাকে শেষ পর্যন্ত কী ভেবেছিল!
এছাড়া একদিন আমি যখন ফারহানাহ’র অপোজিটের চেয়ারে বসেছিলাম, তখন নাসরিন তার সিট থেকে উঠে এসে আমার পাশের চেয়ারে বসলো। কোম্পানীর একজন পার্মানেন্ট এমপ্লয়ি হিসেবে এ চেয়ারে তার কিছুতেই বসার কথা নয়, বিশেষ করে আমার পাশে, যখন অন্য কেউ আশেপাশে ছিল না। আসলে সে শেষবারের মতো আমাকে ট্রাই করতে চেয়েছিল। হয়তো সে দেখতে চেয়েছিল, তার বান্ধবী বীথিকে পছন্দ না করলেও আমি তাকে পছন্দ করি কিনা। হয়তো সে আশা করেছিল, এতো ঘনিষ্ঠভাবে পেয়ে আমি তার সাথে ক্লোজ হবার চেষ্টা করবো বা রোমান্টিক কথাবার্তা বলবো। অথবা আমার চরিত্রে একটা দাগ লাগানোর ধান্ধায় ছিল।