আমার মতে, বাংলাদেশে লকডাউন দিয়ে লাভ নেই। কারণ লকডাউন দিয়ে এক এলাকার সংক্রমণ কমানো গেলেও অন্য এলাকায় লোকজনের নিয়ম না মানার কারণে সংক্রমণের হার বেড়ে যাবে। যার ফলে বছরের পর বছর লকডাউন দিয়েও করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে না সরকার, যদি বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকে।
বর্তমান পরিস্থিতি মানে, লোকজন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়ও মাস্ক পরে চলাফেরা করে না, শুধু শুধু গ্যাদারিং করে ও আড্ডাবাজি করে। শুধু তাই নয়, এরা অন্য লোকজনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করে (এমনকি গা ঘেঁষে থুতু ফেলে), যারা কিনা কেবল কাজের উদ্দেশ্যে বা বিশেষ প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছে, তাও সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
সুতরাং যারা নিজেরা নিয়ম মানবে না এবং অপরকেও নিয়ম মানতে অনুৎসাহিত করবে, তাদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। কারণ এদের কারণে দেশে করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। বলতে গেলে, এরা হলো ‘কৌশলী ঘাতক’। এরাই কৌশলে অন্যকে সংক্রমিত করছে ও তাদের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। তাই আমার প্রস্তাব হলো, দেশে লকডাউন টাইপের কিছু না দিয়ে কঠোর নিয়ম চালু করতে হবে। নিয়মগুলো হলো – রাস্তাঘাটে কাউকে মাস্ক ছাড়া একাধিক দিন পাওয়া গেলে তাকে ক্রসফায়ারে দিতে হবে, শুধু শুধু গ্যাদারিং করলে বা বিনা কারণে রাস্তাঘাটে একাধিক দিন দাঁড়িয়ে থাকতে পাওয়া গেলে তাকেও মেরে ফেলতে হবে।
অর্থাৎ যারা একাধিকবার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফাউল করবে, তাদের অপকর্মগুলো চিহ্নিত করে তাদেরকে ক্রসফায়ারে দিতে হবে। একেকবার ফাউল করলে তাদের হাতে অমোচনীয় কালি দিয়ে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে দিতে হবে, যাতে করে বোঝা যায় – সে এই পর্যন্ত কয়বার নিয়ম ভঙ্গ করেছে। এ ধরনের লোক যারা নির্দিষ্ট সংখ্যক বার নিয়ম ভঙ্গ করবে, তাদেরকে ক্রসফায়ারে দিতে হবে। এভাবে লাখ লাখ মানুষকে নয়, বরং গুটিকয়েক বখাটে পাবলিককে ক্রসফায়ারে দিলে বাকি সবাই সচেতন হয়ে যাবে। এটাই হতে পারে বাংলাদেশকে করোনা মুক্ত করার একমাত্র উপায়।
সরকার যেহেতু ইটালিয়ান প্রবাসীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, সুতরাং এই একটা কাজের কাজ করে তারা বিশ্ববাসীর কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক। কারণ বাঙ্গালী বজ্জাত জাতি, এদেরকে ভালো কথা বলে লাভ নেই।