আপনি যদি নব্বইয়ের দশকে একজন শিশু বা প্রাপ্তবয়ষ্ক হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিতে মৌসুমি এবং সালশান শাহ’র অভিনয় আপনাকে মুগ্ধ করেছে। সে সময় মৌসুমি বেশ স্লিম ছিলেন, পরবর্তীতে কীভাবে মোটা হয়ে গেলেন সেটা রহস্যের বিষয় বটে। মুটিয়ে গেলেও তাঁর মুখমন্ডলের সৌন্দর্য ও মায়া কোনো অংশে কমে নি, এটা সবাই স্বীকার করবে। যাই হোক, বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী সম্পর্কে নিম্নোক্ত তথ্যগুলো আপনি আগে থেকে জানতেন কি?
(১) তিনি খুলনার মেয়ে, অভিনেত্রী পপি তাঁর ফার্স্ট কাজিন অর্থাৎ সরাসরি খালাতো, মামাতো, চাচাতো বা ফুফাতো বোন। এছাড়া মৌসুমির ছোট বোন ইরিন জামানও বেশ কয়েকটি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
(২) মৌসুমির পুরো নাম আরিফা পারভিন মৌসুমি। তিনি একাধারে অভিনেত্রী, মডেল এবং পরিচালক। তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অভিনয়ের জগতে বিচরণ করছেন।
(৩) তিনি তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার অর্জন করেছেন, ছবিগুলো হলো মেঘলা আকাশ, দেবদাস এবং তাঁরকাটা। ‘মেঘলা আকাশ’ ছবিটিতে তিনি এইডস আক্রান্ত একজন পতিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ১৫০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁর পরিচালনা ক্যারিয়ার শুরু করেন।
(৪) মৌসুমি ছোটবেলা থেকেই অভিনয় এবং গান করতেন। তিনি আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেন, যার মাধ্যমে নব্বই-এর দশকে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজ করার সুযোগ লাভ করেন। চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ঘটে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে, এটি মূলতঃ হিন্দী ‘কেয়ামত সে কেয়ামত’ ছবির রিমেক যেখানে আমির খান এবং জুহি চাওলা অভিনয় করেছিলেন। পুরোপুরি কপিক্যাট বা রিমেক হলেও বাংলাদেশে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিটি বিশাল পরিমাণ ব্যবসা করে এবং তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। একই ছবির মাধ্যমে সালমান শাহকে সবাই দর্শকপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে মেনে নেয়, যা আজ পর্যন্ত অর্থাৎ সালমানের মৃত্যুর এতগুলো বছর পরেও পুরোপুরি অক্ষুণ্ণ। অনেকে তো সালমান শাহকে বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা অভিনেতা হিসেবে মেনে নেয়।
(৫) ১৯৯৬ সালে মৌসুমি ওমর সানিকে বিয়ে করেন এবং ছয় মাসের জন্য চলচ্চিত্র শিল্প হতে বিরতি নেন। এই জুটির দু’টি সন্তান রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, মৌসুমি প্রায় ২১/২২ বছর ধরে বরিশালে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যান নি,তবে ২০১৮ সালে সম্প্রতি ওমর সানির গ্রামের বাড়ি ঘুরে আসেন।
(৬) ২০১৩ সালে মৌসুমিকে ইউনিসেফ-এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মৌসুমি একটি প্রোডাকশন হাউজ চালান, এর নাম হলো ‘কপোতাক্ষ চলচ্চিত্র’। ‘মৌসুমি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান চালান তিনি।
(৭) যেমনটা আগে বলা হয়েছে, তিনি বেশ কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জেতেন, এছাড়া বেশ কয়েকবার তিনি ঐ পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হন। মেরিল-প্রথম আলো পুরষ্কারের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য।
মৌসুমি সম্পর্কে এই তথ্যগুলোর বেশিরভাগই উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া।
নিচের লিংকে ক্লিক করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।
https://www.youtube.com/channel/UC_ea40zKSAhep0MI23VQx0g
শ্রাবন্তী সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানা আছে কি? (Interesting information about Shrabonti Chatterjee)
Pingback: শবনম বুবলী সম্পর্কে জেনে নিন। (Come to know about Shobnom Bubly) - INFORMATION N KNOWLEDGE WORTH SHARING