আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দেশে মোবাইল ফোনের নম্বর না বদলে অপারেটর পরিবর্তন বা এমএনপি সেবা চালুর নির্দেশ রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই সুবিধাটি চালু হলে মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে মোবাইল ফোন অপারেটর পরিবর্তনের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। ফলে গ্রাহক নিজের ব্যবহৃত নম্বরটি না বদলেও যে অপারেটরের সেবা পছন্দ হবে, সেই অপারেটরের সেবা নিতে পারবেন।
তবে এই সেবা চালুর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার যৌথ কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ান বিডি টেলিটেক জানিয়েছে, ঠিক কবে এমএনপি সেবা চালু হবে তা তারা জানেন না। ইতোমধ্যে তারা সেবা চালুর জন্য শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেলেই তারা এই সেবা দেয়া শুরু করবেন।
এমএনপি সেবা চালুর পর একজন গ্রাহক অন্য অপারেটরের সেবা নিতে চাইলে তাকে প্রথমে কাঙ্ক্ষিত অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। সেখানে তাকে নতুন একটি সিম দেয়া হবে। তবে এর আগে অপারেটর গ্রাহকের বায়োমেট্রিক ডাটাবেজ (আঙুলের ছাপ) মিলিয়ে দেখা ছাড়াও পোস্টপেইড গ্রাহকের বিল বকেয়া না থাকার ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়ে নেবে।
এক্ষেত্রে প্রি-পেইড গ্রাহকের সিমে যদি কোনো ব্যালেন্স (টাকা) থাকে বা ইন্টারনেট প্যাকেজ থাকে তাহলে সেই টাকা বা ইন্টারনেটের কী হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
প্রতিবার অপারেটর বদলের জন্য গ্রাহককে ৩০ টাকা ফি দিতে হবে। ফি দেয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নতুন সিমটি চালু হবে আর পুরনো সিমটি বাতিল হবে। তবে নম্বর একই থাকবে।
পরবর্তীতে আবার অপারেটর বদলের জন্য গ্রাহককে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। ৯০ দিন পরে গ্রাহক অন্য অপারেটরে যেতে চাইলে সে অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নতুন সিম নিতে পারবেন।
গত ৩১ মের মধ্যে এমএনপি সেবা চালুর কথা থাকলেও তা হয়নি। এবার প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এমএনপি সেবা চালুর ব্যাপারে তাগাদা দিয়েছেন।