ঈশ্বর যদি সব জীবের সৃষ্টির পেছনে থাকেন, তবে তিনি খুব সম্ভবত সেই সুদূর অতীতে এককোষী জীবকে সৃষ্টি করেছেন, বা তাঁর কারিশমায় সেটা সম্ভব হয়েছে। এরপর সেই এককোষী জীবকে বংশবিস্তার ও বিবর্তনের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। ফলশ্রুতিতে সেই এককোষী জীব থেকেই লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের দ্বারা আজকেের দুনিয়ায় হাজার-হাজার, লক্ষ-লক্ষ প্রাণী ও উদ্ভিদের আবির্ভাব ঘটেছে।
ঈশ্বর যদি এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে থাকেন, তবে তাঁর চিন্তাভাবনা এমন হওয়া উচিত নয় যে, তাঁর উপাসনা করলেই বেহেশত বা স্বর্গ পাওয়া যাবে, আর তাঁকে এড়িয়ে চললেই নরক। ঈশ্বর হয়তো হাজার হাজার জীবের উৎপত্তির পিছনে রয়েছেন, কিন্তু তিনি তাঁর সৃষ্টিগুলোকে ভালোবাসেন – এমনটা বলা যাবে না। কারণ দুনিয়াতে প্রতিটি জীবই প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিপদ ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, ঈশ্বর এসে তাদেরকে ‘উদ্ধার’ করছেন না। ব্যাপারটা এমন যেন, ঈশ্বর মহাবিশ্ব ও প্রাণীকূল সৃষ্টি করে এখন কেবল তাদের তামাশা দেখছেন। এ ধরনের ‘তামাশা দেখতে থাকা’ ঈশ্বরের উপাসনা করার প্রয়োজন নেই, যদিও বা তিনি আদতে আমাদের অর্থাৎ মানবজাতির কাছ থেকে উপাসনা প্রত্যাশা করে থাকেন।