নায়িকা পরীমণি বেশ কয়েক বছর যাবৎ বেলেল্লাপনা করে আসছেন। চলচ্চিত্রে খুব একটা অভিনয় না করা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে কিছুদিন পর পর লেটেস্ট মডেলের গাড়ি হাঁকান, সেটা এখন বুঝতে আর কারো বাকি নেই। তিনি দেহব্যবসা এবং উগ্র জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তার প্রতিফলন হলো – রাতবিরাতে তাঁর নাইটক্লাবে যাওয়া এবং সেখানে গিয়ে ধর্ষণপ্রচেষ্টার শিকার হওয়া। এ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়েছেন এবং তাঁকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেছেন। প্রশ্ন হলো, শেখ হাসিনার মেয়ে কি কখনো রাতবিরাতে নাইটক্লাবে ফূর্তি করতে যাবেন, বা কখনো গেছেন? অবশ্যই না। শেখ হাসিনার মেয়ে বা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, যিনি কিনা প্রসিদ্ধ পরমাণুবিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ারও কন্যা, তিনি কতটা লক্ষ্মী তা দেশবাসী ভালো করেই জানেন। তিনি উচ্চশিক্ষিত এবং অটিজমের উপর আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত। তাই প্রধানমন্ত্রীকে ‘মা’ সম্বোধন করে পরীমণি তাঁকে প্রকারান্তরে অপমান করেছেন, তাঁর মর্যাদাহানি করেছেন। পরীমণি যেভাবে বেড়ে গিয়েছিলেন, তাতে এমনটিই যে হবার কথা ছিল, তা বলা বাহুল্য। তিনি উচিত শিক্ষা পেয়েছেন, দেশবাসী খুশি হয়েছে। আশা করি, এবার তিনি তাঁর দেহব্যবসা তথা ‘চামড়ার ব্যবসা’ কমাবেন এবং সভ্য নাগরিক হওয়ার দিকে মনোযোগ দিবেন।
