আয়মান সাদিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা নাকি নারীঘটিত কেলেংকারীতে জড়িত, এটা শুনে ঝোঁকের বশে ওদের প্রতি কিছুটা ঘৃণা চলে এসেছিল আমার মনে, সেটা বেশ কয়েক মাস আগেকার কথা। কিন্তু এরপর গত কয়েক মাস ধরে আমি আয়মান সাদিক ও টেন মিনিটস স্কুল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি এবং যতদূর সম্ভব খোঁজ-খবর রেখেছি সংবাদপত্রের মাধ্যমে।
এখন আমি ভিন্নমত পোষণ করি। আমি মনে করি, আয়মান সাদিক কোনো ফাউল করে নি। নারীঘটিত কোনো ঘটনা হয়ে থাকলে সেখানে ঐ নারীরা নিজেরাই কম-বেশি জড়িত বা সংশ্লিষ্ট। এদেশের নারীদের আমার ভালোই চেনা আছে। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলেদের লেজে খেলিয়ে কেলেংকারী ঘটায়। পরে সেটা জনসমক্ষে এলে নিজেরা ইনোসেন্ট সাজে এবং ছেলেদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করে।
আয়মান অ্যাট লিস্ট ধর্ষণ তো কাউকে করে নাই, নাকি করেছে? লিভ টুগেদার যদি করে থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট নারীর সম্মতিতেই হয়েছে। এদেশের আইন অনুযায়ী, ১৮ বছর বা বেশি বয়সের যেকোনো নারী স্বেচ্ছায় পুরুষের সাথে দৈহিকভাবে মিলিত হতে পারবেন।
আর আমার মতে, লিভ টুগেদার কোনো খারাপ বিষয় নয়, বরং এ দেশকে আর্থিকভাবে উন্নত করতে হলে এবং পিছুটান হতে দূরে সরিয়ে নিতে চাইলে লিভ টুগেদার-এর বিকল্প নেই। লিভ টুগেদার কালচার এদেশে ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি পেলে নিম্নোক্ত সুবিধাসমূহ পাওয়া যাবেঃ
(১) দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসবে। ‘মেয়েদেরকে বিয়ে দিতেই হবে’-এটা একটা ত্রুটিপূর্ণ চিন্তা, এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা থেকে দেশবাসীকে বের করে আনতে হবে, সেটা যত দিনই লাগুক না কেন। আমাদের দেশের মেয়েরা বিয়ের চিন্তা না করে ক্যারিয়ারের বিষয়ে ভাববে, তাদেরকে সিঙ্গাপুরের মেয়েদের মতো হতে হবে।
এজন্য অবশ্য ধর্মের সাথে লড়তে হবে। ধর্ম বিশেষ করে ইসলাম যতদিন এ দেশে থাকবে, ততদিন আমার প্রস্তাবিত উপর্যুক্ত পরিস্থিতি দেশে আনা সম্ভব হবে না। তাই আমাদের দেশের দরকার একজন কামাল আতাতুর্ক বা মাহাথির মোহাম্মদ, মুনাফিক সরকারপ্রধান দিয়ে দেশের বেশি উন্নতি সম্ভব নয়।
(২) খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা এর মতো যৌনতাও একটি মৌলিক চাহিদা, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। যৌনতার জন্য বিয়ে করা ও পরিনামে অকালে বাচ্চাকাচ্চা জন্ম দেয়ার কোনো মানে হয় না। এ প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করতে গেলেও ধর্মের সাথে ফাইট করতে হবে। কে কে আছেন আমার সাথে?
সমকামিতা কি দরকার?
লিভ টুগেদারের বিষয়ে আমার সম্মতি থাকলেও সমকামিতার বিষয়ে আমার আপত্তি রয়েছে। কারণ যৌনতা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও সমকামিতা স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক কোনো আচরণ নয়, এটি অনেকটা কৃত্রিমতা।
বিশেষ করে যারা শখ করে বা অন্য কোনো কৃত্রিম কারণে সমকামিতায় নতুন করে অভ্যস্ত হয়েছেন বা হতে চান, তাদের এ আচরণের বিষয়ে আমার ব্যাপক আপত্তি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপঃ হলিউডের টোয়াইলাইট ছবির নায়িকা ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট তাঁর সাবেক বয়ফ্রেন্ড রবার্ট প্যাটিনসনের সাথে ছাড়াছাড়ির পর সমকামিতায় জড়িয়ে পড়েন, এটা সমর্থনযোগ্য নয়। তাই সমকামিতা এ দেশে বৈধ করার কোনো কারণ দেখি না।
সমকামী ব্যক্তিরা যে বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তির সান্নিধ্যে যৌনতা উপভোগ করতে পারেন না, এ বিষয়টা আমি বিশ্বাস করি না (বা বুঝি না)। যদি সত্যিই তাঁদের কেবল সমলিঙ্গের ব্যক্তির সান্নিধ্যের প্রয়োজন হয়, তবে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
আয়মান সাদিকের পেছনে কারা লেগেছে?
আয়মান সাদিক ও তার সহযোগীরা যেহেতু লিভ টুগেদার ও সমকামিতাকে পাবলিকলি সমর্থন জানিয়েছে, সুতরাং ইসলামী জঙ্গীরা তাদের পিছে লাগবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে জঙ্গীদের ছাড়াও দেশের কিছু বিশেষ এলাকার লোকদের প্রতি আমি অঙ্গুলি উত্তোলন করতে চাই। আমি মনে করি, আয়মানের পিছনে বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের লোকজন এবং মাদারীপুরের লোকজন লেগে থাকতে পারে।
মাদারীপুর বরিশাল বিভাগে অন্তর্ভুক্ত না হলেও এরা বরিশালের লোকদেরকে অন্ধের মতো অনুসরণ করে। বরিশালের লোকজন বৃহত্তর কুমিল্লার লোকদেরকে, বিশেষ করে কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলার লোকদেরকে বিষদৃষ্টিতে দেখে। তাই তারা অরিজিনালি কুমিল্লার বাসিন্দা আয়মান সাদিকের পেছনে লেগে থাকতে পারে। তাদের মতে, কুমিল্লার লোকজন মেধাবী হবে কেন? তারা ব্যবসায় উদ্যোক্তা হবে কেন?
আপনারা লক্ষ্য করেছেন কিনা, কিছুদিন আগে ফেসবুকে কুমিল্লার লোকদেরকে এভাবে ইনসাল্ট করা হতোঃ ‘চিটাগাং যাবার পথে কুমিল্লা এসে গেছে, সবাই এখন বাস থেকে নেমে মুতে দিন।’ এটা বরিশালের লোকজন চালু করেছিল।
বরিশাল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু লোকজন রয়েছেন, যারা কুমিল্লার মানুষকে সহ্য করতে পারেন না। আমার পরিচিত কয়েকজন জোর গলায় এটাও বলেছেন যে, আয়মান নাকি রুয়েট থেকে মেকানিকালে পাশ করে পরে ঢাবি’র আইবিএ’র এমবিএ’তে ভর্তি হয়েছে। তারা এটা মানতে চায় না যে, আয়মান আসলে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পরই আইবিএ’তে ভর্তি হয়েছিল। সে যে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে মেডেল নিয়েছে এবং আরো বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরষ্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছে, সেটাও কুমিল্লার এসব হেটাররা মেনে নিতে নারাজ।
তাই বলতে চাই, কারণের পিছনেও কার্যকারণ থাকে। আয়মান সাদিককে কেন পঁচানো হচ্ছে, সেটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। আয়মান তো আসলে দেশের রত্ন, সত্যিকার মেধাবী। দেশে আরো অধিক সংখ্যক আয়মান দরকার, আবরার নয়। আবরার ভিকটিম হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তসলিমা নাসরিনের ভাষ্য মতে, সে আসলেই একজন ধর্মান্ধ ও কুপমন্ডুক ছিল। দেশে এখন আধুনিক মনমানসিকতার মানুষ দরকার। তবে আবরারের হত্যাকারীদের ফাঁসি হতে হবে (অমিত সাহা সহ)।