নাসরিন ম্যাডাম আর শাহিনূরকে অনেক দিন থেকেই চিনি (প্রায় ৫-৭ বছর)। তাদের সাথে পরিচয় হয়েছে ‘প’ আদ্যাক্ষরের একটি গাইডবুক প্রতিষ্ঠানে লেখক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে। এর মধ্যে নাসরিন আমার চেয়ে মাত্র এক বছরের ছোট আর শাহিনূর পাঁচ বছরের। নাসরিন দেখতে ভালো হলেও শাহিনূর আসলে ‘বিলো এভারেজ’ চেহারার একটি খাটো মেয়ে।
এটা ঠিক যে, তাদের অশ্লীল প্রস্তাব দিয়েছিলাম বা আপত্তিকর ও অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেছিলাম। তবে এক্ষেত্রে তারাও কম-বেশি দায়ী। নাসরিন এক সময় বিথী ম্যাডামের সাথে উঠাবসা করতো, যে কিনা স্পষ্টদৃষ্টিতে ত্রুটিপূর্ণ যৌন চরিত্রের অধিকারী ছিল। এই বিথী প্রথমে আমার সাথে শুতে চেয়েছিল, কিন্তু সে দেখতে অনাকর্ষণীয়, হিন্দু এবং বরিশালনি হওয়ায় তার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাই নি। পরবর্তীতে সে নাকি আরএন্ডডি’র হেড সুনীলদা’র ভাইয়ের সাথে লিভ টুগেদার করেছে (উক্ত পাবলিকেশনের পিএমডি’র সদস্য সাঈদ ভাইয়ের দেয়া তথ্য মতে)।
আর নাসরিন নিজেও ধোয়া তুলসি পাতা নয়। আমার ‘এস্টিমেট’ মোতাবেক, সে যখন প্রথম এই প্রতিষ্ঠানে চাকুরিতে জয়েন করেছিল, তখন সে চাকুরি বাঁচানোর জন্য এবং হয়তো মিথ্যে আশ্বাস ও প্রলোভনে পড়ে সাঈদ ভাইয়ের শয্যাসঙ্গী হয়েছিল। আমার হিসেব মতে, শুধুমাত্র নাসরিনের সাথে অবৈধ সেক্স করার জন্য সাঈদ অফিসের কাছে একটি সাবলেট রুম ভাড়া নিয়েছিল, কারণ সাঈদের পরিবার মুন্সিগঞ্জে থাকতো এবং মুন্সিগঞ্জ হতেই ঢাকায় যাওয়া-আসা করে অফিস করতো সে।
এসব বলার পেছনে আমার পয়েন্ট হলো – নাসরিনকে দুশ্চরিত্রের মহিলা ভাবার অনেকগুলো কারণ আমার ছিল। একে তো সাঈদ ভাইয়ের সাথে তার ফিঁসফাঁস ও পারস্পরিক (মিউচুয়াল) বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বেশি সুবিধার ছিল না, যা আমি তখন সাঈদ ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে কাজ করায় খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছিলাম। দ্বিতীয়ত নাসরিন চলতো দুশ্চরিত্রের মহিলাদের সাথে (তৎকালীন কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের হেড বিথী ম্যাডাম)।
আর যতদূর জানি, নাসরিনের নিজেরও এক বোন (বড় বোন) যুবতী ও বিধবা ছিল; তাই সব মিলিয়ে ধরে নিলাম, পরকীয়া সেক্স করতে আগ্রহী এরকম মহিলার সন্ধান তার কাছে থাকবে। প্লাস, সে নিজেও তো ‘সাধু’ নয়, সাঈদের মতো একটা অশিক্ষিত ও মূর্খের সাথে শুতে পারলে আমার সাথে শুতে সমস্যা কোথায়?! এসব ভেবেই তাকে ফেসবুকে মেসেজ দিয়েছিলাম, ‘ম্যাডাম, একটি মেয়ে বা মহিলার সন্ধান দিন তো, সেক্স করার জন্য (চাইলে আপনি নিজেও করতে পারেন।)’ ব্যস্, হয়ে গেল কাম! দিল আমায় ব্লক করে। এটা আমি মোটেও আশা করি নি, কারণ নাসরিন ছিল আমার হোম ডিসট্রিক্ট-এর অন্য এক উপজেলার মেয়ে। দেশি মানুষ হিসেবে সে আমাকে কিছুটা কনসিডার করবে, সেটাই আশা করেছিলাম। কমপক্ষে সে বলতে পারতো, ‘আপনার কাছ থেকে এমন ব্যবহার আশা করি নি কখনো, ফ্রেন্ডলিস্টে থাকতে চাইলে আর কখনো এ ধরনের মেসেজ পাঠাবেন না।’
আসলে সে একটা আস্ত বর্ণবাদী ও টাকার কাঙাল। সে আসলে আমার বাহ্যিক চেহারা ও ফ্যামিলি স্ট্যাটাস – এইসব বিবেচনায় নিয়েছে। সে ভেবেছে, তার পরিবার মোহাম্মদপুরে অ্যাপার্টমেন্টে থাকে, তার স্বামী বাংলালিংকে কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজার, তারা প্রায়ই বিদেশে ঘুরতে যায়, আবার প্রাইভেট কারে চলাফেরা করে – এইসব আর কি। নাসরিন আমার ইন্টেলেকচুয়াল লেভেলটা বিবেচনা করে নি; সে চিন্তা করে দেখে নি যে, আমার মতো ইন্টেলেকচুয়াল লোক তার চৌদ্দ গোষ্ঠীর মধ্যে নেই (তাই তো ফাঁপড়বাজ, অশিক্ষিত, মূর্খ সাঈদ তাকে বিছানায় নিতে পেরেছে)। আর আমি কোন জায়গা থেকে পড়াশুনা করেছি আর সে কোন জায়গার স্টুডেন্ট ছিল, সেটাও বোধ হয় ভুলে গেছে। যাই হোক, ‘নাসরিনের কাজ নাসরিন করেছে, কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে তাকে কামড়ান কি আমার শোভা পায়?!’
এবার আসি শাহিনূরের কথায়। শাহিনূর দুশ্চরিত্রের মেয়ে নয় – এতটুকু আন্দাজ করি, আর তাকে কোনো খারাপ প্রস্তাব দেইও নি। শুধু তার কাছে মোবাইল নাম্বারটা চেয়েছিলাম, সেটা না দেয়ায় তাকে মেসেঞ্জারে বললাম, ‘শোনো, মোবাইল নাম্বার যখন দিবাই না, তখন একটা কথা বলেই দেই। তোমাকে কিন্তু আমার অনেকদিন ধরে ভালো লাগে। তবে আমি যেহেতু বিবাহিত তাই কথাটা তোমাকে বলার সুযোগ পাই নি।’ এতে সেও ব্লক মেরে দিল আমায়। অথচ এই শাহিনূর একসময় আমাকে ‘ভাইয়া ভাইয়া’ করতে করতে গলে গলে পড়তো।
একবার সে আমাকে বলেছিল, ‘ভাইয়া, আপনার সাথে কফি খেতে যাব।’ সে যদি আমাকে নিছক ভাইয়া হিসেবে ভেবে থাকে, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু তার বলার ভঙ্গিতে এমন কিছু একটা ছিল যেটাতে আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, সে আসলে আমার সাথে লাইন মারতে চায়, যদিও তখন আমি বিবাহিত ছিলাম। আমাকে তার ভালোলাগা সে বুঝিয়েছিল চোখের ইশারায়, আর আমি সেটা বুঝিয়ে দিলাম মুখে বলে (মেসেঞ্জারে লিখে), এতে দোষটা কোথায় বুঝতে পারলাম না!
সে হয়তো অতীতের কথা বেমালুম ভুলে গেছে, নিজে বিয়ে বসে হিজাব চাপিয়ে সতীপনা করতে শিখেছে। সে যদি ভদ্র হতো, তাহলে আমাকে বলতে পারতো, ‘এ ধরনের কথা আর বলবেন না, প্লিজ। আমি এখন বিবাহিতা (বা আমার পক্ষে এটা সম্ভব নয়)’। আফটার অল, আমি তাকে কোনো অশালীন প্রস্তাব দেই নি; বলি নি যে, আমার সাথে শুতে আসো।
আর নাসরিনের মতো মহিলারা যারা বহুগামী এবং ক্যারিয়ারে উন্নতির জন্য যার-তার সাথে শোয়, তাদেরকে শোয়ার বা সেক্স করার প্রস্তাব দিলে সেটা অশালীন হয় না, কারণ এমনটা তো তারা অহরহ করছে।