আমাকে যদি বলা হয়,
কোনটা বেছে নেবে?
ঈমানদার নাকি ধার্মিক?
আমি ঈমানদারকে বেছে নিব।
কারণ ধার্মিক ঈমানদার নাও হতে পারে
উদাহরণঃ এ দেশের শতশত,
হাজার হাজার ব্যবসায়ী
নামাজ-রোজা করেও
বা নিয়মিত মন্দিরে ঢু মেরেও
অবৈধভাবে মুনাফা করে
কেউ মজুতদারী করে
কেউ ভেজাল মিশিয়ে
কেউ বাটপারি করে
আবার কেউ বেঈমানী করে।
কিন্তু ঈমানদার বা বিশ্বাসী লোক
সব ধর্মেই দেখা যায়
এমনকি নাস্তিকদের মাঝেও দেখা যায়।
এখানে ঈমানদার বলতে আল্লা বা সৃষ্টিকর্তায়
বিশ্বাস করে এমন কাউকে বোঝানো হয় নি
ঈমানদার বলতে বোঝানো হয়েছে
যে বিশ্বাস ভঙ্গ করে না।
এমনি এক লোক ছিল
ইসলামের নবী মোহাম্মদ।
আল্লার কাছ থেকে তথাকথিত মেসেজ
পাওয়ার বহু আগে থেকেই
সে ছিল আলামিন বা বিশ্বাসী।
এ ধরনের লোককেই আমাদের দেশে
ঈমানদার বলে
আর বেঈমান বলতে বুঝায় গাদ্দার লোককে,
যে চট করে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
যাই হোক, যা বলছিলাম –
ঈমানদার বা বিশ্বাসী হতে হলে
ধার্মিক হওয়ার প্রয়োজন নেই।
যেসব দেশের বেশিরভাগ লোক নাস্তিক,
তাদের মধ্যে কি বিশ্বাসী লোক নেই?
না থাকলে তারা জীবন ও সমাজের সকল ক্ষেত্রে
এত উৎকর্ষ সাধন করলো কীভাবে?
এসব লোক কি কুয়ার ব্যাঙ?
নাকি আমাকে কুয়ার ব্যাঙ মনে করো তোমরা,
তথাকথিত ধার্মিকেরা?
দুনিয়ার খোঁজখবর কি রাখো তোমরা?