আপন খালা-ফুপু বা নিকট আত্মীয়ার সাথে যৌনতার অভিজ্ঞতাকে ‘ইনসেস্ট’ বলে থাকে। আমার সে রকম কোনো সরাসরি অভিজ্ঞতা নেই, তবে মশলাদার কিছু অভিজ্ঞতা তো আছেই। আর সরাসরি অভিজ্ঞতাও হতে পারতো, যদি বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাতাম বা তুরুপের তাস ঠিকমতো মেলাতে পারতাম।
https://www.youtube.com/watch?v=_LzFXnXA8Bs
এ পর্যায়ে অনেকে হয়তো প্রশ্ন করবেন, সেনসিটিভ এ বিষয়গুলো শেয়ার করছি কেন। কারণ, আমার শেয়ার করতে ভালো লাগে। আমি দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে দেখেছি যে, মানুষের চিন্তাভাবনার স্টাইল প্রায় সেইম। তাই অভিজ্ঞতাগুলোও প্রায় একই রকম হওয়ার কথা। অর্থাৎ আমার যেমন ইনচেস্ট অভিজ্ঞতা আছে, ঠিক তেমনি বেশিরভাগ মানুষের সেটা থাকার কথা। উদাহরণস্বরূপঃ আমার স্কুল লেভেলের বন্ধু চন্দ্রনাথ দেবনাথের কথা উল্লেখ করি। সে তো এসএসসি পাশের পর ১৯৯৭ সালে তার আপন মাসীর সাথে সেক্স করেছিল, অবশ্য কনডম ব্যবহার করে। সে কথা বোকাটা আবার আমাদেরকে বলে দেয়। তখন বন্ধু-বান্ধবরা বিশেষ করে রাজীব ওকে মারাত্মক রকম খ্যাঁপাতো।
তাই খ্যাঁপানির হাত হতে বাঁচার জন্য সে বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে অন্য কারো চরিত্রে কালিমা লেপনের সুযোগ খুঁজতে থাকে, সেটা সে পেয়েও যায় – আমার মাধ্যমে। আমাকে সে মাগি লাগানোর জন্য কুমিল্লায় যাওয়ার সুযোগ করে দেয়, পরবর্তীতে সে ঘটনা আবার সবাইকে বলেও দেয়। যাই হোক, এ কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো, একই ধরনের অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই থাকার কথা। তাই আমার আপন খালা-ফুপুদের কাছ থেকে প্রাপ্ত এই অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের কারো কখনো হয়েছে কিনা, সেটা একটু যাচাই করে নিন।
প্রথমেই আসি পারভীনের কথায়, সে আমার ছোট খালা, আমার চেয়ে তিন বছরের বড়। তার ইমেডিয়েট বড় বোন ছিল ফরিদা খালা, যিনি ১৯৯৪ সালে ২০/২১ বছর বয়সে মারা গেছেন। তবে ওনার বিষয়ে আমার বউয়ের মন্তব্যই সঠিক। বউ একবার বলেছিল, ‘ফরিদা খালা মরে গিয়ে তোমাদের হাত হতে বেঁচেছে’। আমার মনে হয়, কথাটা সত্যি – আমি যে রকম সেক্সপাগল ছেলে, তাতে ফরিদা বেঁচে থাকলে তাঁর সাথে নির্ঘাৎ যৌনতায় লিপ্ত হতাম, কারণ দেখতে খুব বেশি সুন্দরী না হলেও গতরখানা তাঁর অসাধারণ ছিল।

পারভীন ও ফরিদা যখন আমাদের বাসায় অবস্থান করতো, আমার সেই ছোট বেলার কাহিনী বলছি, তখন রাতে তাদের পাশে শোয়াই ছিল আমার ধ্যান-জ্ঞান। শুয়ে রাতের গভীরে কামিজ ও স্যালোয়ারের নিচ দিয়ে তাদের দেহ হাতানোই ছিল আমার একটা চরম বিনোদন। এসব কাজ করতে গিয়ে ধরা খেলে আমি ঘুমিয়ে থাকার অভিনয় করতাম, কখনো লাথি খেতাম তাদের পায়ের, কখনো বা ধাক্কা। কখনো বা পরের দিন তারা আমার মায়ের সামনে প্রকাশ্যে আমাকে লজ্জা দিত, ‘তোর পোলা বড় হইয়া গ্যাছে, ওরে বিয়া করাইয়া দে!’।
ফরিদা খালা মারা যাওয়ার পর পারভীনের সাথে আর এসব কর্মকাণ্ড করা হয়ে ওঠে নি, কারণ ততদিনে আমি অনেক বড়, ক্লাস নাইনে পড়ি এমন। ঐ সময় আমি পড়াশুনার দিকে মনোযোগ দেই এবং মেয়েদেরকে যথাসম্ভব ভুলে থাকার চেষ্টা করি বেশ কয়েক বছর। তবে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর বুঝতে পারলাম যে, পারভীন নিজেই আমার প্রতি দিনদিন দুর্বল বা মুগ্ধ হচ্ছে, অবশ্য এসবকে কখনো আমলে নেই নি। তবে আরো দু’তিন বছর পর তার স্বামী আফজালের সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল এবং সে বিভিন্ন পুরুষের সাথে প্রেম করা শুরু করলো। এরকম একটা সময়ে আমি একটা ভুল করে বসি, যাতে তার ধারণা হয় যে, আমি তাকে দৈহিকভাবে কামনা করি; যদিও আদৌ ব্যাপারটা তা ছিল না।
তখন ২০০৯ সালের কথা, একটা কল সেন্টারে জব করতাম, রাতের শিফটে। জবে যাওয়ার আগ মুহূর্তে রাত নটার দিকে পারভীনের সাথে আমাদের বারান্দায় দেখা হলো। তার মানে, আমি সেখানে গিয়েছিলাম কোনো একটা কারণে, আর অন্ধকারে সেও কী জানি মনে করে সেখানে গিয়েছিল। বিদায় নেয়ার আগ মুহূর্তে তার পিঠে বা কাঁধে হাত দিয়ে তাকে সামান্য জড়িয়ে ধরার ভঙ্গি করে তার কাছ থেকে বিদায় নেই, কারণ পরের দিন সকালে তার চলে যাবার কথা। এতে করে তার ধারণা হয় যে, আমি তার প্রতি দৈহিকভাবে আকৃষ্ট, যেটা পরবর্তীতে তার আচরণে বুঝতে পারি।
এ ঘটনার পর থেকে সে যেচে এসে প্রায়ই আমার সাথে ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করতে থাকে। ব্যাপারটা অগ্রসর হয় নি, কারণ আমি তার প্রতিটি আচরণকে একটি ইনোসেন্ট অ্যাপ্রোচ নিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করতাম। তবে আরো ম্যাচিউর হবার পর বুঝতে পারি যে, সে আমার সাথে শোয়ার জন্য কতটা পাগল ছিল। সে প্রায়ই আমার রুমে এসে আমার বিছানায় শুয়ে রোমান্টিক গান বাজাতে বলতো আর গান চলাকালীন সময়ে আমার দিকে রোমান্টিক ভঙ্গিতে চেয়ে থাকতো।
আমি তখন বিছানা থেকে নেমে পাশের চেয়ারে বসে তার দৃষ্টি এড়িয়ে থাকার চেষ্টা করতাম, কারণ বিষয়টিকে খারাপ হিসেবে নেয়ার কোনো ইচ্ছে তখন আমার ছিল না। তবে এখন অনুভব করি, সুযোগগুলো লুফে নেয়া উচিত ছিল আমার। কারণ যৌনতার সুযোগ আর শক্তি চিরকাল থাকে না, মানুষ কেবল একবারের জন্যই বাঁচে। পারভীন কালো হলেও তার দেহবল্লরী ছিল অসাধারণ, যেটা আমার চেখে দেখা উচিত ছিল।
পরবর্তীতে সে যখন জানতে পারে যে, আমি মোটা অঙ্কের টাকা কামাই, তখন সে আমার সাথে শোয়ার জন্য অস্থির হয়ে গেল। জানি না, সেটা কি টাকার লোভে, নাকি মেধাবী কারো সাথে শুতে পারার অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্দেশ্যে। এসময় সে আমাকে কারণে-অকারণে তার দেহ দেখিয়ে বেড়াতো এবং মিনিংফুল এক্সপ্রেশন দেখাতে থাকতো। আমি সেটা কেবলই দেখে দেখে উপভোগ করতাম, তার সাথে যৌনতায় জড়াব কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না।
একটা সময় নানীবাড়িতে সে কেবল একাই বাস করতো, এমন সময়ে সেখানে বেড়াতে গেলে তার সাথে একা এক ঘরে শুতে হতো; অর্থাৎ সে ঐ রুমে আর আমি এই রুমে। ঐ সময় চাইলেই আমি তাকে চেপে ধরতে পারতাম, আর সেও বোধ হয় সেটাই চাইতো। আর আমিও আজ না, কাল চেপে ধরবো – এসব টালবাহানায় মূল্যবান সময় ক্ষেপণ করছিলাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে, একরাতে ঠিক করেছিলাম যে, মাঝরাতে তার পাশে গিয়ে শোব, অথচ ক্লান্তির চোটে সেই ঘুম ভাঙলো গিয়ে সকাল নয়টায়। তখনো সে বিছানায় শুয়ে ছিল, আমার জন্য অপেক্ষা করছিল হয়তো। দরজা বন্ধ ছিল, তাই খালা-বোনপো ভিতরে কী করছে, সেটা দেখতে কেউ আসবে না। এমন মোক্ষম সুযোগও হাতছাড়া করেছি আমি। পরবর্তীতে সে বিরক্ত হয়ে আরেক পুরুষকে বিয়ে করে নেয়।
অামাকে এক পর্যায়ে সে নিঃস্বার্থভাবে কামনা করলেও পরবর্তীতে খুব সম্ভবতঃ স্বার্থাণ্বেষীভাবে কামনা করে। অর্থাৎ প্রথমতঃ সে হয়তো নিছক দৈহিক সুখ লাভের আশায় আমার সাথে ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করে, তবে পরবর্তীতে সে আমাকে নিয়ে খারাপ একটা প্ল্যান করে, আর সেটা হলো ব্ল্যাকমেইলের প্ল্যান। আমার সাথে শুয়ে সেটাকে সে ধর্ষণ হিসেবে চালিয়ে দেয়ার প্ল্যান করেছিল, আর আমাকে কেস-মামলা হতে বাঁচাতে মা হয়তো নানাবাড়ির ভাগের অংশটুকু তার কাছে সমর্পণ করবে – এমনটাই আশা করেছিল পারভীন। তবে তার সে আশায় গুড়েবালি, আমি মোটেই তার ফাঁদে পা দেই নি।
আমাকে জালে আটকাতে না পেরে এক পর্যায়ে সে কোনো রাখঢাক না রেখে সরাসরি মা’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। মা যখন নানাবাড়িতে তার আগে থেকেই অবস্থান করা ঘরটা মেরামত করার পদক্ষেপ নেয়, তখন পারভীন তাতে বাদ সাধে। সে এটা প্রতিষ্ঠা করতে চায় যে, এ ঘরটাও মৃত নানার মালিকানাধীন, সুতরাং ঘরটিতে অন্য আট-দশ জনের মতো পারভীনেরও শেয়ার আছে। আদতে ব্যাপারটা তা নয়, আজ হতে বহুদিন পূর্বে নানা বেঁচে থাকতে ঐ জায়গাটুকু মা’র নামে বরাদ্দ করেছিলেন, যেহেতু মা ছিলেন নানার দ্বিতীয় ঘরের প্রথম সন্তান এবং নানার অনেকগুলো ছেলেমেয়ে মানুষ করার পেছনে মা অনেক শ্রম দিয়েছিলেন। সে জায়গাটাতে পরবর্তীতে আমার পিতা অর্থ খরচ করে ঘর তুলেছিলেন।
কিন্তু পারভীন এলাকার দু’-একজন নেতার সাথে ‘অন্যরকম’ সম্পর্ক থাকার খ্যাতিরে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্যকে বানাতে চেয়েছিল, যদিও তার এই দূরভিসন্ধি পরবর্তীতে ধোপে টিকে নি। শুধু শুধু সে আমাদের চোখে কালার হলো, এই আর কি! তাকে এখন আর খালা বলে মনে করি না; আমার চোখে সে শুধু দুশ্চরিত্রা এক মহিলা, যদিও এক ব্যাটার সংসার করছে সে গত কয়েক বছর ধরে এবং সেখানে তার একটি সন্তানও হয়েছে।