আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসনকে ও পাবলিক স্টাফ সম্প্রদায়কে টাকা দিয়ে (বেতন বহুগুণ বাড়িয়ে) কিনে ফেলেছে অনেক আগেই। কয়েক মাস আগে দুই নম্বরী চরিত্রের আজিজ আহমেদকে সেনাপ্রধান বানিয়ে নির্বাচনে কারচুপি করার বন্দোবস্ত করে রেখেছিল, তাকে বহুত টাকা দিয়েছে নিশ্চয়ই। এছাড়া পুলিশপ্রধান ও র্যাবপ্রধানও নিরপেক্ষ নয়, তারাও আওয়ামী ‘পা-চাটা’ কুত্তা।
বিরোধী দলকে (বিএনপি) এবার মাঠেই নামতে দেয় নি লীগাররা। বিএনপি’র লোকজন কোনো সভা-সমাবেশ করার সুযোগ পায় নি, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করতে পারে নি। বিএনপি’র বেশিরভাগ নেতা-কর্মীকে জেলে পুরে রেখেছে, অধিকাংশ কেন্দ্রে বিএনপি’র পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য কাউকে পাওয়া যায় নি।
জালিম লীগ সর্বস্তরের মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের মনে এই ধারণা জন্মেছে যে, এবার ছলে, বলে, কৌশলে নৌকাই আবার ক্ষমতায় আসবে; সুতরাং ধানের শীষ বা অন্য কোনো প্রতীকে ভোট দেওয়া অর্থহীন। আর বিএনপি প্রার্থীরা জনগণের কাছে পৌঁছাতে না পারার কারণে তাদের পক্ষে ভোটের হারও অনেক কমে গেছে।

তবে প্রধান পয়েন্ট হলো, লীগাররা ভোটের আগের দিন রাতে এবং ভোট শুরু হওয়ার আগে সকালে বিপুল পরিমাণ জাল ও ভুয়া ভোট ব্যালটবাক্সে বন্দী করেছে। তাছাড়া ভোট চলাকালীন সময়েও অনেক কেন্দ্রে লাঞ্চ ব্রেক ও ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি অজুহাত দেখিয়ে সাধারণ জনগণের ভোট তারা নিজেরাই নৌকায় দিয়ে দিয়েছে।
কোনো ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের উপস্থিতি দেখেছেন? হাতে গোণা দু’-একটি কেন্দ্রে পুলিশ বাহিনী দেখা গেলেও বেশিরভাগ কেন্দ্র পাহারা দিয়েছে আওয়ামী লীগাররা নিজেরাই, যাতে পরিস্থিতি তাদের পক্ষে যায়। হিরো আলমের মতো নিরীহ স্বতন্ত্র প্রার্থীও তাদের মারধরের হাত হতে রেহাই পায় নি।
বেশির ভাগ (যদি সবগুলো না হয়) টিভি চ্যানেলকে হাসিনার দল ভয় দেখিয়ে ও টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছিল। একাত্তর চ্যানেল ও এটিএন নিউজের উপস্থাপনার ধরন দেখলেই সেটা বোঝা যায়। তাছাড়া চিন্তা করে দেখুন, ভোটের দু’দিন আগে হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ জয় কেন সময় নিউজের চ্যানেল অফিস ভিজিট করবেন, কী উদ্দেশ্য তার সেখানে?
তাই অনুমান করা যায় যে, টিভি চ্যানেলগুলোতে লীগারদের মনগড়া খবর ও ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আর ভারত ও নেপালসহ যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক আনা হয়েছে, তাদের সবাইকে উচ্চ অংকের ঘুষ দেয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষকগণ নেগেটিভ কোনো কমেন্ট মিডিয়ার সামনে করতে পারে নি। সবশেষে নির্বাচন কমিশন হাসিনার তৈরি করে দেয়া ফলাফল প্রকাশ করেছে। পুরোটাই সলিড প্রহসন বা নাটক!