ব্যক্তিগত জীবন
অপু বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮৯ সালের ১০ অক্টোবর অর্থাৎ বর্তমানে তাঁর বয়স সাড়ে আঢাশ বছর। তাঁর পিতার নাম উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং মাতার নাম শেফালি বিশ্বাস, অপু বগুড়ার মেয়ে। ছোটকাল থেকেই অপু অভিনয়ের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন এবং শিল্পকলা একাডেমি থেকে নাচের দীক্ষা নেন। মিডিয়াতে কাজ করার ব্যাপারে তাঁর পিতামাতা তাঁকে উৎসাহ জুগিয়েছেন।
২০০৮ সালে অপু বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা শাকিব খানকে গোপনে বিয়ে করেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে অপু ইসলাম খান রাখেন। এই জুটির একটি পুত্রসন্তান রয়েছে, নাম আব্রাম খান জয়। অনেকে বলে থাকেন, শাহরুখ খানের ছোট পুত্র আব্রামের সাথে মিলিয়ে এই নাম রাখা হয়েছে। জয়ের জন্ম হয় ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, কোলকাতায়।
২০১৭ সালের ১০ই এপ্রিল পর্যন্ত অপু-শাকিবের বিয়ে এবং তাঁদের সন্তানের বিষয়টি জনগণের কাছ থেকে আড়াল করে রাখা হয়। কিন্তু ঐ বিশেষ দিনের অপু তাঁর সন্তান নিয়ে একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে চলে আসেন এবং সব গোমর ফাঁস করে দেন। এতে শাকিব খান বিরক্ত হয়ে একই বছরের ২২শে নভেম্বর তারিখে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন এবং অবশেষে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী তারিখে তাঁরা অফিসিয়ালি আলাদা হয়ে যান, অর্থাৎ আদালতের তরফ থেকে তাঁদের বিচ্ছেদ মঞ্জুর করা হয়।
অপু বিশ্বাসের ক্যারিয়ার
ঢাকাই চলচ্চিত্র বা ঢালিউডে অপু বিশ্বাসের অভিষেক ঘটে ২০০৬ সালে, ‘কাল সকালে’ ছবির মাধ্যমে। পরে ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয় এবং এর মাধ্যমে ঢালিউডে তাঁর একটি পাকাপোক্ত স্থান হয়। তাঁর ফিল্মী ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ছবিতে তাঁর পুরুষ সহকর্মী বা নায়ক ছিলেন শাকিব খান। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে শাকিব-অপু সবচেয়ে সফলতম এবং জনপ্রিয় জুটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রের যে রিমেক বাংলাদেশে হয় তাতে অপু ‘পার্বতী’ চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অপুর আরেক ছবি ‘মাই ন্যাম ইজ খান’ও তুমুল ব্যবসা করে। এই ছবিতেও তাঁর নায়ক ছিলেন শাকিব খান। মূলতঃ এই ছবিটি শাকিবকে উপজীব্য করেই তৈরি। বাংলাদেশের যে সকল সেলিব্রিটি সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অপু বিশ্বাস অন্যতম।
তালাকের আপোষপ্রচেষ্টায় অপু বিশ্বাস একাই গিয়েছিলেন
ঢালিউডে প্রতিষ্ঠা পাবার জন্যই হোক অথবা শাকিবকে ভালোবেসেই হোক, শাকিবের সাথে বেশ কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটিয়েছেন অপু বিশ্বাস, তাঁর ক্যারিয়ারের শুরু হতেই। এক পর্যায়ে কী মনে করে তাঁরা বিবাহ করলেন, সেটা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে বিয়ের ব্যাপারটি চেপে থাকার বিষয়টি অপুর জন্য খুবই যন্ত্রণাকর ছিল এটা চোখ বুঝে বলে দেয়া যায়। বিশেষ করে ইচ্ছে বা অনিচ্ছেয় তাঁদের সন্তানটি জন্মলাভের পর অপু মনেপ্রাণে চাইছিলেন গোপন কথাগুলো সবাইকে বলে দিতে। কিন্তু শাকিব তাঁকে বরাবরই এ বিষয়ে মানা করছিলেন। অবশেষে ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে তিনি একটি টিভি চ্যানেলের লাইভে এসে সবকিছু ফ্ল্যাশ করে দেন। এটা শাকিবের অপ্রত্যাশিত ছিল এবং তিনি অপুর উপর বিশাল পরিমাণে রাগ বা অভিমান করেন।
উপরন্তু সে সময় শাকিবের সাথে নায়িকা বুবলীর প্রেম ছিল বলে কানাঘুষা চলছিল, অপু বিশ্বাস এ বিষয়ে অবগত ছিলেন। বিশেষ করে শাকিব যখন বুবলীর বাসায় গিয়ে তাঁর ও তাঁর পরিবারবর্গের সাথে ছবি তুলে সেটা ফেসবুকে আপলোড দেন এবং ক্যাপশন দেন ‘ফ্যামিলির সাথে কিছুটা সময়’, তখন সেটা মেনে নেয়া অপুর পক্ষে সম্ভব হয় নি। এ ঘটনার দু’-এক দিনের মধ্যেই অপু নিউজ ফ্ল্যাশটি করে দেন।
যাই হোক, অপু বিশ্বাস এত কিছুর পরেও তাঁর সংসার টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন, কিন্তু বেঁকে বসেন শাকিব। তিনি মোটামুটি ঠিক করে ফেলেন, এই সংসার তিনি রাখবেন না। তাই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের আপোষপ্রচেষ্টার দিন অপু উপস্থিত থাকলেও শাকিব অনুপস্থিত ছিলেন, এতে তাদের বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী হয়ে যায়।
অপু বিশ্বাস সম্পর্কে এই তথ্যগুলোর বেশির ভাগই উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া।
নিচের লিংকে ক্লিক করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।
https://www.youtube.com/channel/UC_ea40zKSAhep0MI23VQx0g
শবনম বুবলী সম্পর্কে জেনে নিন। (Come to know about Shobnom Bubly)